বিসিএস (বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস) পরীক্ষার সিলেবাস

বিসিএস (বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস) পরীক্ষার সিলেবাস

Table of Contents

বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে প্রশাসন, পুলিশ, কর, পররাষ্ট্র সহ প্রজাতন্ত্রের ২৬ টি প্রথম শ্রেনীর গেজেটেড কর্মকর্তা পদে নিয়োগ প্রদান করে থাকেন। বিসিএস পরীক্ষা বাংলাদেশে চাকুরীপ্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রতিযোগীতামুলক পরীক্ষা। উক্ত নিয়োগ ৩ টি ধাপের পরীক্ষার মাধ্যমে গ্রহন করা হয় এবং উক্ত ৩টি ধাপেই উত্তীর্নদের মধ্য থেকেই নিয়োগ প্রদান করা হয়। উক্ত ধাপগুলো হলো।

১। প্রাথমিক পরীক্ষা (Preliminary Examination)ঃ

এটি বিসিএস পরীক্ষার ১ম ও প্রাথমিক ধাপ। সাধারনত এই পরীক্ষার ১মাস আগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এই ধাপে ১০টি বিষয়ের উপর নৈব্যক্তিক প্রশ্ন করা হয়। উক্ত পরীক্ষার মান ২০০ নম্বর। উক্ত পরীক্ষায় পাস নম্বর হলো ১২০। প্রাথমিক পরীক্ষা হলো শুধুমাত্র প্রাথমিক বাছাইয়ের পরীক্ষা। উক্ত পরীক্ষার কোনো নাম্বার পরবর্তী ধাপের কোনো পরীক্ষায় যোগ হবেনা। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১ নম্বর। সুতরাং যেহেতু ভুল উত্তরের জন্য নাম্বার কাটা যাবে সেহেতু এই পরীক্ষায় না জেনে কোনো প্রশ্নের উত্তর না করাই শ্রেয়।

প্রাথমিক পরীক্ষার মানবন্টনঃ

BCS preliminary Marks-www.ainerasroy.com

আরোও জানুনঃ

মামলা থাকলে সরকারী চাকুরী হবে কি?

মামলায় কিভাবে সাজা বা খালাষ হয়?

কোম্পানী গঠনের খরচ ও সহজ নিয়ম

চেক ডিজঅনার মামলা হলে করনীয় কি? কিভাবে পাবেন প্রতিকার

২। লিখিত পরীক্ষা (Written Examination)ঃ

প্রাথমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ন প্রার্থীগন লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ পাবেন। লিখিত পরীক্ষায় ২টি ভাগে পরীক্ষা হয়ে থাকে। ১। সাধারন ক্যাডার ২। প্রফেসনাল বা কারিগরী/ পেশাগত ক্যাডার। উভয় ক্যাডারের ক্ষেত্রেই সর্বমোট ৯০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়ে থাকে। তবে সব পরীক্ষায় অংশগ্রহন বাধ্যতামুলক। অন্যথায় তিনি পাশ নম্বর পেলেও অকৃতকার্য বলে বিবেচিত হবেন।

বিসিএস সাধারন ক্যাডারের ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষার মানবন্টনঃ

  • সাধারন বাংলা (প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র)………………..২০০ নম্বর।
  • General English (Part I and II)………………………..২০০ নম্বর।
  • বাংলাদেশ বিষয়াবলী (১ম ও ২য় পত্র)………………২০০ নম্বর।
  • আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী…………………………………….১০০ নম্বর।
  • গানিতিক যুক্তি ও মানষিক দক্ষতা……………………১০০ নম্বর।
  • সাধারন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি…………………………………১০০ নম্বর।

বিসিএস সাধারন ক্যাডারের ক্ষেত্রে পাশ নম্বরঃ

সাধারন ক্যাডারের ক্ষেত্রে ৯০০ নম্বরের মধ্যে সর্বমোট ৪৫০ পেলেই পাশ। তবে প্রতিটি বিষয়ে ন্যুনতম ৩০% মার্কস পেতে হবে। অন্যথায় উক্ত বিষয়ের কোন নাম্বার মোট নাম্বারের সাথে যোগ হবেনা। অর্থ্যাৎ উক্ত বিষয়ে শুন্য পেয়েছেন বলে গন্য হবে। তবে এই বিষয় বাদ দিয়েও যদি তিনি ৪৫০ নাম্বার পান তাহলেও তিনি পাশ করেছেন বলে গন্য হবেন।

বিসিএস টেকনিক্যাল/ প্রফেসনাল ক্যাডারের ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষার মানবন্টনঃ

  • সাধারন বাংলা ……………………………………………………১০০ নম্বর।
  • General English (Part I and II)………………………..২০০ নম্বর।
  • বাংলাদেশ বিষয়াবলী (১ম ও ২য় পত্র)………………২০০ নম্বর।
  • আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী…………………………………….১০০ নম্বর।
  • গানিতিক যুক্তি ও মানষিক দক্ষতা……………………১০০ নম্বর।
  • সংশ্লিষ্ট পদ সংক্রান্ত বিষয়……………………………….১০০ নম্বর।

বিসিএস টেকনিক্যাল/ প্রফেসনাল ক্যাডারের ক্ষেত্রে পাশ নম্বরঃ

বিসিএস টেকনিক্যাল/ প্রফেসনাল ক্যাডারের ক্ষেত্রে ৯০০ নম্বরের মধ্যে সর্বমোট ৪৫০ পেলেই পাশ। তবে প্রতিটি বিষয়ে ন্যুনতম ৩০% মার্কস পেতে হবে। অন্যথায় উক্ত বিষয়ের কোন নাম্বার মোট নাম্বারের সাথে যোগ হবেনা। অর্থ্যাৎ উক্ত বিষয়ে শুন্য পেয়েছেন বলে গন্য হবে। তবে এই বিষয় বাদ দিয়েও যদি তিনি ৪৫০ নাম্বার পান তাহলেও তিনি পাশ করেছেন বলে গন্য হবেন।

বিসিএস লিখিত পরীক্ষার পূর্নাঙ্গ সিলেবাস pdf

৩। মৌখিক পরীক্ষাঃ

মৌখিক পরীক্ষা হচ্ছে পরীক্ষা পদ্ধতির সর্বশেষ ধাপ। যারা লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ন হবেন তারাই এ পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ পাবেন। এ ধাপে মোট মান ২০০ নম্বর। উক্ত নম্বরের মধ্যে ৫০% নম্বর পেলে পাশ বলে বিবেচিত হবে। তবে এ পরীক্ষায় অংশগ্রহন বাধ্যতামুলক। অন্যথায় অকৃতকার্য বলে বিবেচিত হবে। লিখিত পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর ও মৌখিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে চূড়ান্ত মেধাক্রম তালিকা প্রস্তুত করা হয়।

চূড়ান্ত বাছাইঃ

মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ন হওয়ার পর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, পুলিশে ভেরিফিকেশন, এনএসআই ভেরিফিকেশন এর পর চূড়ান্তভাবে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।

বিসিএস (বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস) পরীক্ষার সিলেবাস।

বিঃদ্রঃ আমাদের আলোচনাগুলি শুধুমাত্র জ্ঞান ও জানার জন্য। কেউ যদি আমাদের তথ্যগুলি আপনার কোনো প্রয়োজনীয় কাজে ব্যাবহার করেন তার দায় আপনার একান্তই নিজের। প্রয়োজনে পিএসসির ওয়েবসাইট হতে তথ্য সংগ্রহের পরামর্শ প্রদান করা হলো।

আমাদের আয়োজন গুলি ভালো লাগলে ও আরোও লিখা পড়তে আমাদের ব্লগ পেজে চোখ রাখুন, ইউটিউব আইনের আশ্রয় এর সাথে থাকুন এবং কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট, কিংবা ওয়েবসাইটের মেসেজ অপসন কিংবা ফেসবুক পেজ আইনের আশ্রয়ে মেসেজ করতে পারেন।

ধন্যবাদ।

আরোও জানুনঃ

২০২২-২০২৩ বাজেট এ কোন মন্ত্রনালয় কত বরাদ্দ পাচ্ছে

পারিবারিক নারী নির্যাতনে কি কি মামলা করা যায়

মামলা থাকলে সরকারী চাকুরী হবে কি?

মামলায় কিভাবে সাজা বা খালাষ হয়?

কোম্পানী গঠনের খরচ ও সহজ নিয়ম

চেক ডিজঅনার মামলা হলে করনীয় কি? কিভাবে পাবেন প্রতিকার

জায়গা জমির মামলা বা দেওয়ানী মামলার ধাপসমূহ

বিভিন্ন আইনে মিথ্যা মামলা করার শাস্তি

Law Article

প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী গঠন ও নিবন্ধন পদ্ধতি ও খরচ

প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী গঠন ও নিবন্ধন পদ্ধতি ও খরচ

ব্যাবসার পূর্নাঙ্গতা প্রদানের জন্য ভাবছেন প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী গঠন করবেন ও নিবন্ধন বা রেজিষ্ট্রেশন করবেন। তাহলে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী নিবন্ধনে আপনাকে আগেই ভাবতে হবে কিছু

আরও পড়ুন...
যেসব সেবা নিতে দিতে হবে আয়কর রিটার্ন সার্টিফিকেট

২০২২-২০২৩ অর্থবছর হতে যেসব সেবা নিতে আয়কর রিটার্ন সার্টিফিকেট লাগবে।

২০২২-২০২৩ অর্থবছর হতে সেবা গ্রহন করতে আগের মত শুধুমাত্র টিআইএন (TIN) জমা দিলেই হবে না। সাথে জমা দিতে প্রত্যেক বছরের আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রাপ্তীস্বীকারপত্র (Acknowledgement

আরও পড়ুন...
সাইবার বুলিং কি এবং প্রতিকার

সাইবার বুলিং কি এবং প্রতিকার। সাইবার ক্রাইম এর শাস্তি কি। WHAT IS CYBER BULLYING AND REMEDIES.

সাইবার বুলিং কি? সাইবার বুলিং হচ্ছে একধরনের সাইবার অপরাধ। বর্তমান সময়ে এ অপরাধ ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করছে। সাধারন অর্থে বুলিং বলতে আমরা বুঝি দুইজন মানুষের

আরও পড়ুন...