সাইবার বুলিং কি এবং প্রতিকার

সাইবার বুলিং কি এবং প্রতিকার। সাইবার ক্রাইম এর শাস্তি কি। WHAT IS CYBER BULLYING AND REMEDIES.

Table of Contents

সাইবার বুলিং কি?

সাইবার বুলিং হচ্ছে একধরনের সাইবার অপরাধ। বর্তমান সময়ে এ অপরাধ ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করছে। সাধারন অর্থে বুলিং বলতে আমরা বুঝি দুইজন মানুষের মধ্যে উত্ত্যপ্ত বাক্য বিনিময় বা কাউকে কটুক্তি করাকে। তেমনিভাবে ইন্টারনেট কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাউকে উদ্দেশ্য করে কটুক্তি করা বা কাউকে মানহানিকর মন্তব্য করে তাকে হেয়প্রতিপন্ন করাকেই সাইবার বুুলিং বলা হয়। তেমনিভাবে কারো ছবি বা ভিডিওচিত্র বিকৃত ও মানহানিকর ভাবে উপস্থাপন করাকেও সাইবার বুলিং বলা হয়। বর্তমান সময়ে এই অপরাধটি ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করায় অপরাধ বিজ্ঞানীগন বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে দেখছেন ও দ্রুত যথাযত ব্যাবস্থা ও কঠোর আইন প্রনয়নের পরামর্শ প্রদান করেছেন।

সাইবার বুলিং এর হারঃ

জরিপ মোতাবেক পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৫১ শতাংশ মানুষ কোন না কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে থাকেন। তার মধ্যে ৬০ শতাংশ মানুষ কোন না কোন ভাবে সাইবার বুলিং বা হেনস্থার স্বীকার।

ইউনিসেফের ২০১৯ সালের এক জরিপ মোতাবেক বাংলাদেশে সাইবার বুলিংয়ের স্বীকার হওযা মানুষদের মধ্যে ৩৮ শতাংশ মানুষের বয়স ১০ থেকে ১৩ বছর। ৩৬ শতাংশের বয়স ১৪ থেকে ১৫ বছর। ২৫ শতাংশের বয়স ১৬ থেকে ১৭ বছর। ঢাকায় সাইবার বুলিংয়ের স্বীকার হওয়া ৭০ শতাংশ নারীর বয়স ১৫-২৫ বছরের মধ্যে। ২০১৭ সালে বিবিসির এশিয়ার কয়েকটি দেশের উপর করা প্রতিবেদন মোতাবেক সাইবার বুলিং উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। এবং সাইবার বুলিং এর স্বীকার হওয়াদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরী। তবে পুরুষেরাও ব্যাপকভাবে বর্ন, শারিরীক গঠন, ধর্ম, পেশা ইত্যাদির কারনে প্রতিনিয়ত সাইবার বুলিং বা হেনস্তার স্বীকার হচ্ছেন।

সাইবার বুলিংয়ের বিষয়ে ব্যাপকভাবে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে ২০১২ সালের ১৭ জুন প্রথম Stop Cyberbullying Day উদযাপন করা হয়। এরপর থেকে প্রতি বছরের জুন মাসের ৩য় শুক্রবার দিবসটিকে Stop Cyberbullying Day হিসেবে উদযাপন করা হয়।

সমসাময়িক সাইবার বুলিং কেসেসঃ

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে সাইবার বুলিং বিষয়টি ব্যাপকভাবে পরিচিতি লাভ করছে কিছু অভিনেতার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেনস্থা হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। যেমন

অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী মা দিবসে মায়ের সঙ্গে একটি ছবি পোষ্ট করেন। আর এই ছবিতে কিছু বিকৃত মানষিকতার মানুষ মন্তব্য করতে থাকেন চঞ্চল চৌধুরীর ধর্ম নিয়ে। যা মারাত্বক ভাবে আঘাত করে এই অভিনেতাকে। তার প্রতিবাদ হিসেবে অনেকেই প্রোফাইল পিকচার বদলিয়ে ও ফেসবুকে হ্যাসট্যাগ দিয়ে “চঞ্চল চৌধুরী ইজ আওয়ার ব্রাদার” “তোমার মা আমার মা” “স্টপ সাইবার বুলিং”, “হোক প্রতিবাদ” লিখে পোষ্ট করেন।

অভিনেতা হিরো আলম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ অনলাইন জগতে প্রায় প্রতিটি পদক্ষেপেই ব্যাপকভাবে সাইবার বুলিংএর স্বীকার হচ্ছেন। কিছু বিকৃত মানষিকতার মানুষ প্রতিনিয়ত তার কাজ, চেহারা, ও বাচনভঙ্গি নিয়ে কুরুচিপূর্ন, মানহানিকর ও হতাশাকর মন্তব্য করে আসছেন। যা একজন অভিনেতা কেন প্রতিটি মানুষের জন্যই হতাশাজনক।

তার আগে অভিনেত্রী সুমাইয়া শিমু তার স্বামীর সঙ্গে একটি ছবি দিয়ে ফেসবুকে অশ্লীল আক্রমনের শিকার হয়েছিলেন। তার স্বামী নজরুল ইসলাম যুক্তরাষ্টভিত্তিক আন্তর্জাতিক বেসরকারী সংস্থা রিলিফ ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত ও সমাজে প্রতিষ্ঠিত এ মানুষটির গায়ের রং নিয়ে যেসকল আপত্তিকর ও মানহানিকর মন্তব্য করা হয় তা একটি সুস্থ সমাজে কোন ভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়।

এছাড়াও অনেক নারী উদ্যোক্তাই অনলাইন মাধ্যমে নিজের মেধা ও শ্রম দিয়ে নিজেকে ও নিজের ব্যাবসাকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। যা নিসন্দেহে একটি উত্তম সিদ্ধান্ত। কিন্তু এই নারী উদ্দ্যেক্তাগন প্রতিদিন কিছু বিকৃত মানষিকতার লোকজনের দ্বারা অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ন মন্তব্যের দ্বারা সাইবার বুলিংয়ের স্বীকার হন। যা একটি সুস্থ সমাজব্যাবস্থায় কোন ভাবেই গ্রহনযোগ্য নয় এবং এটি মারাত্বক অন্যায় ও দন্ডনীয়। যার কারনে অনেক নারী উদ্দ্যোগতাই হতাশ হয়ে নিজের আত্বসম্মান ও পরিবারের কথা চিন্তা করে জলাঞ্জলি দেন নিজের লালিত স্বপ্ন।

তেমনিভাবে কোন মামলা দায়েরের পরেই গনমাধ্যমের করা নিউজে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যাবহারকারীগন যাচ্ছেতাই ও কুরুচিপূর্ন মন্তব্য করেন। যা কোন ভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। যেকোন ব্যাক্তির বিরুদ্ধে থানায় কিংবা আদালতে অভিযোগ আসতেই পারে। সেক্ষেত্রে তিনি অভিযুক্ত। দোষী সাব্যস্থ নন। কিন্তু বিজ্ঞ আদালতে সমস্ত স্বাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্থ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তাকে সমাজে অপরাধী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা ও মন্তব্য করাও অন্যায় ও দন্ডনীয়। এক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমগুলোও অনেকাংশে দায়ী।

Youtube Video about this content-

সাইবার বুলিং এ করনীয়ঃ

১।      আপনি যদি সাইবার বুলিং এর স্বীকার হন তাহলে যথাসম্ভব তার প্রতুত্তর দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। এবং মন্তব্যকারীকে যথাসম্ভব এড়িয়ে যান ও অন্য দিকে প্রসঙ্গ টেনে যান। এতে করে মন্তব্যটি গুরুত্ব হারাবে ও নতুন করে অন্য কেউ মন্তব্যটি নিয়ে গুরুত্ব দিবে না ও বিস্তার রোধ হবে।

২।     সাইবার বুলিংয়ের যথাযথ প্রমান যথা স্ক্রীনসট, স্ক্রীন ভিডিও ইত্যাদি সংরক্ষন করুন।

৩।     প্রাথমিকভাবে মন্তব্যের বিপরীতে মন্তব্যের স্ক্রীনশট সহ সচেতন করতে পারেন। ও প্রয়োজনক্ষেত্রে অভিযোগ প্রদান সহ মামলা করতে পারেন।

৪।      যেহেতু সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই ব্লক অপশন রয়েছে সেহেতু হেনস্থাকারীকে তৎক্ষনাত ব্লক করতে পারেন বা বুঝিয়ে বলতে পারেন।

৫।     নিজের পরিবারের সদস্য ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে বিষয়টি শেয়ার করতে পারেন। এতে করে সবাই অন্য একজনকে হেনস্থা করতে দ্বীধাবোধ করবে ও সামাজিকভাবে সচেতনতা তৈরি হবে।

৬।     সাইবার বুলিংটি যদি আপনার জীবন, সম্মান ও হুমকির কারন হয় তাহলে অনতিবিলম্বে নিকটস্থ থানায় অভিযোগ অথবা সাধারন ডায়েরী করতে পারেন।

৭।      অথবা “পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর ওমেন” ফেসবুক পেজে আপনার তথ্য উপাত্ত সহ অভিযোগ প্রদান করতে পারেন। উক্ত বিভাগে নারী সদস্যগন দায়িত্ব পালন করে বলে আপনার বিব্রত হওয়ার সুযোগ নেই।

সাইবার বুলিং এর প্রতিকারঃ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ মোতাবেক সাইবার বুলিং এর প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। যদি কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অন্য কোন অনলাইন মাধ্যমে সাইবার বুলিং এর স্বীকার হউন তাহা হইলে তিনি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় অথবা বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইব্রুনালে হাজির হয়ে সরাসরি মামলা দায়ের করতে পারবেন। অপরাধের অভিযোগ ও বিচারকে আরও সহজতর করতে বর্তমানে প্রত্যেক বিভাগীয় শহরগুলোতে সাইবার ট্রাইব্রুলাল আদালত গঠন করা হয়েছে। যা ইতিপূর্বে সারা বাংলাদেশের জন্য শুধু ঢাকা জজ কোর্টে ছিল। উক্ত আইনের ধারা সমূহ নিন্মে আলোচনা করা হলো।

ধারা- ২৮ মোতাবেক যদি কোন ব্যাক্তি বা গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃত ভাবে বা জ্ঞাতসারে ধর্মীয় মুল্যবোধ বা অনুভুতিতে আঘাত করিবার বা উস্কানি প্রদানের অভিপ্রায়ে ওয়েবসাইট বা অন্যকোনো ইলেকট্রনিক্স বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা প্রচার করে বা করায় যাহা ধর্মীয় অনুভূতি বা ধর্মীয় মুল্যবোধের উপর আঘাত করে, তাহা হইলে উক্ত ব্যাক্তি অনধিক ০৫ বছর কারাদন্ড বা অন্যুন ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে বা উভয়বিধ দন্ডে দন্ডিত হইবেন।

ধারা- ২৯ মোতাবেক যদি কোন ব্যাক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক্স বিন্যাসে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ বা প্রচার করে তাহা হইলে তিনি অনধিক ৩(তিন) বছর কারাদন্ড বা  অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড কিংবা উভয়দন্ডে দন্ডিত হইবে।

ধারা- ৩১ মোতাবেক যদি কোনো ব্যাক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা ডিজিটাল বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করে বা করান যাহা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শ্রেনী বা সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃনা বা বিদ্বেষ সৃষ্টি করে বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে বা অস্থিরতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে যা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায় বা ঘটিবার উপক্রম হয়, তাহা হইলে উক্ত ব্যাক্তি অনধিক ০৭(সাত) বছর কারাদন্ড বা অনধিক ০৫ (পাচ) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয়দন্ডে দন্ডিত হইবেন।

সাইবার বুলিং কি এবং প্রতিকার। সাইবার ক্রাইম এর শাস্তি কি। WHAT IS CYBER BULLYING AND REMEDIES.

সাইবার বুলিং এর বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পদক্ষেপঃ

সাইবার বুলিং বা সাইবার ক্রাইম সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বর্তমানে অনেক তৎপর। যার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পুলিশ, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, র‌্যাব এর বিভিন্ন ইউনিটের নিকট সহজ অভিযোগ ও প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

“পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর ওমেন” ফেসবুক পেজে আপনার তথ্য উপাত্ত সহ অভিযোগ প্রদান করতে পারেন। উক্ত বিভাগে নারী সদস্যগন দায়িত্ব পালন করে বলে আপনার বিব্রত হওয়ার সুযোগ নেই। এছাড়াও বাংলাদেশ পুলিশ, কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের সাইবার ক্রাইম ইনভেষ্টিগেশন ডিভিশন, সাইবার পুলিশ সেন্টার, হ্যালো সিটি এপস, রিপোর্ট টু র‌্যাব এ্যাপস, ৯৯৯, এর ফেসবুক পেজেও অভিযোগ করার সহজ সুযোগ রযেছে।

আইন বিষয়ে আরোও জানতে আইনের আশ্রয় আছে আপনাদের পাশে। আইনের আশ্রয় আইন অঙ্গনে আইনজীবিদের দ্বারা পরিচালিত একটি ব্যতিক্রমী আইন চেম্বার।

(বিঃদ্রঃ কোন ধরনের © কপিরাইট পাইরেসি আমাদের কাম্য নয়। আমাদের দেয়া তথ্য ও প্রতিকার সস্পূর্ণ শিক্ষা ও সচেতনা মূলক মাত্র, কেউ ইহাকে আইনগত মতামত বা পরামর্শ রূপে ব্যবহার করলে তাহার দায় সস্পূর্ণ ব্যাক্তিক বটে। এ ধরনের প্রয়োজনে, সরাসরি একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর দ্বারস্ত হওয়ার জন্য সতর্ক করা হল।)

Our Website- https://ainerasroy.com/blog/

Facebook- https://www.facebook.com/ainerasroy

Youtube channel- https://www.youtube.com/channel/UCkFmb31_2L_VnRUcRr6Mcnw

ধন্যবাদ সবাইকে।

Law Article

ব্যারিস্টার ও আইনজীবি/এডভোকেট/উকিলের মধ্যে পার্থক্য

ব্যারিস্টার ও আইনজীবি/এডভোকেট/উকিলের মধ্যে পার্থক্য

ব্যারিস্টার ও আইনজীবি/ এডভোকেট/ উকিলের মধ্যে পার্থক্য অনেকের মনেই প্রশ্নের সৃষ্টি করে। শাব্দিক অর্থে উকিল বা এডভোকেট অর্থ অপরের প্রতিনিধি বা কারোও পক্ষে বিচারকার্যে প্রতিনিধিত্ব

আরও পড়ুন...
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষন, করনীয় ও ঘরোয়া প্রতিকার

ডেঙ্গু জ্বর এর লক্ষণ, করনীয় ও ঘরোয়া প্রতিকার

ডেঙ্গু জ্বর কিঃ ডেঙ্গু জ্বর সাধারনত একটি মশাবাহিত ভাইরাস সংক্রমন। সাধারনত এ রোগের ধারক ও বাহক হলো এডিস মশা। এরোগে আক্রান্ত ব্যাক্তিকে একটি মশা কামড়

আরও পড়ুন...
আত্বরক্ষার অধিকার

অপরাধ করেও কখন মাফ পেয়ে যাবেন।। আত্বরক্ষার অধিকার

জান বাচানো ফরজ এরুপ একটি কথা আমাদের মাঝে প্রচলিত রয়েছে। আসলেই তাই। আইনেও নিজের জীবন ও সম্পত্তি বাচানোর জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। আর এজন্য যদি

আরও পড়ুন...